লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির খেত থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই দিন রাতে ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান ১০ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকার রমজান আলী, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান, হাবিয়ার রহমান প্রমুখ।
উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই রেজাউল করিমের নামে কবলা খরিদা জমিতে মোস্তাফিজুর ধানের আবাদ করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই জমি নিজেদের দাবি করে ধান কেটে নেন। এতে বাধা দিতে গেলে তাঁরা ধান কাটার কাঁচি নিয়ে মোস্তাফিজুরকে মারার জন্য তেড়ে আসেন। ভয়ে তিনি সেখান থেকে চলে এসে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওই জমি আমার ছোট ভাইয়ের। আমি সেই জমিতে ধান আবাদ করেছি। তাঁরা ওই জমি নিজেদের দাবি করে জোর করে পাকা ধান কেটে নিয়ে যান। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মারতে আসেন। তাই আমি থানায় অভিযোগ দিই।’
এ বিষয়ে রমজান আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান বলেন, ‘ওই জমি আমরা মোস্তাফিজুর রহমানের চাচার কাছ থেকে কিনেছি। তখন থেকে আমরাই আবাদ করি। কিন্তু এবার মোস্তাফিজুররা আগেভাগেই ধানের চারা রোপণ করেন। পরে সেটা আমরা তুলে ফেলে দিয়ে নতুন করে ধানের চারা রোপণ করি। আর ওই পাকা ধান আমরা কাটি। ওরা যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’