করোনার কারণে দুই বছর ঈদুল ফিতরে যাত্রী পরিবহন করেনি ট্রেন। এবারের ঈদে ট্রেনে আগের মতো যাত্রীর চাপ হবে। সে বিষয় মাথায় রেখে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সে জন্য ছয়টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীর সুবিধার্থে পাঁচ দিন আগে দেওয়া হবে ট্রেনের টিকিটও।
পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্র জানায়, সবচেয়ে বেশি যাত্রীর চাপ থাকে চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও দেওয়ানগঞ্জে। তাই এসব রুটে চলাচল করবে ছয়টি স্পেশাল ট্রেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর রুটে চলাচল করবে দুটি স্পেশাল ট্রেন, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে দুটি, ঢাকা-খুলনা একটি এবং ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে একটি ট্রেন চলাচল করবে।
পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদে যাত্রীরা কোনোভাবে যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়া যাতে টিকিট পায়, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা পূরণে রেলওয়ের পাহাড়তলী কারখানায় চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। কারখানায় ১১টি শপের শ্রমিকদের যেন দম ফেলারও ফুরসত নেই। ক্যারেজ শপ, ওয়াগন শপ, পেইন্ট শপ, হুইল শপ, ওয়েল্ডিং শপ, স্মিথি শপ, ফাউন্ড্রি শপ, সিএইচআর শপ, জিওএইচ শপ, এসিটিএল শপ, জিইআর শপের শ্রমিকেরা রমজানের শুরুর দিন থেকে মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
কারণ এই কারখানা থেকে দেওয়া হবে ৫০টি অতিরিক্ত কোচ ও ১৬-২০টি ইঞ্জিন। এসব কোচ ও ইঞ্জিন ঈদের ৫ দিন আগে বিভিন্ন রুটে সংযোজন করা হবে। ইতিমধ্যে ৭টি ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে।
পাহাড়তলীর বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (কারখানা) তাপস কুমার দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদে ৫০টি কোচের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো ঈদের আগেই দিয়ে দিতে পারব।’
কারখানার কর্মব্যবস্থাপক রাজীব কুমার দেবনাথ বলেন, ‘১৬ থেকে ২০টা ইঞ্জিনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সাতটি ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে। বাকিগুলোও ঠিক সময়ে দিয়ে দিতে পারব।’