বয়সের ভারে ন্যুব্জ। চলাফেরা করতে গেলে অন্যের সাহায্য লাগে। তবু ভোট দেওয়ার আগ্রহে ভাটা পড়েনি। তাই নাতির কোলে চড়ে ইউপি নির্বাচনে ভোট দিতে যান তিনি।
বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডে দিগলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা মেলে ১০৫ বছরের আব্দুল খালিক। নিজ হাতে ভোট দিয়েছেন পছন্দের প্রার্থীকে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট দেন ওই কেন্দ্রের সব চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার। ভোট দিয়ে বের হয়ে তৃপ্তির হাসি হাসেন তিনি।
এত কষ্ট করে কেন ভোট দিতে এসেছেন-এমন প্রশ্নে আব্দুল খালিক বলেন, ‘ভোট দিয়ে অনেক ভালো লাগছে। বয়স অনেক তো হয়েছে। আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে নাও পারি। তাই নাতির কোলে চড়ে ভোট দিতে এসেছি।’
আব্দুল খালিকের নাতি সাব্বির আহমদ বলেন, ‘নানা বয়সের ভারে ক্লান্ত। শরীরের শক্তিও শেষ প্রায়। নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারলেও, হাঁটতে হয় নাতি-নাতনির সহায়তায়। খাবার সামনে দিলেও খেতে হয় অন্যের সহযোগিতায়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া বাড়ি থেকে বের হন না প্রায় ১৫ বছর থেকে। তারপরও ভোট দিতে হবে তাঁকে।’
দাদার এমন বায়নায় কিছু বিরক্ত হলেও বৃদ্ধ দাদাকে খুশি রাখতে কোলে করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসেন সাব্বির আহমদ।