পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১৩ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানার পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাঁকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত সোমবার সকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামির নাম আবু সাঈদ তালুকদার (৪২)। তিনি উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সখীপুরে থানা সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদ সখীপুর পৌরশহরে প্রবাসীদের পাঠানো ব্যাংক ড্রাফটের ব্যবসা করতেন। এ ছাড়া তিনি সখীপুর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উচ্চ হারে সুদ দেওয়ার কথা বলে টাকা ধার নিতেন। একপর্যায়ে ধার নেওয়া টাকা ফেরত না দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এ ঘটনায় ২০০৭ সালে মামুন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী টাঙ্গাইল আদালতে ১৩ লাখ টাকার ব্যাংক চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত আবু সাঈদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর ২০০৮ সালে আবু সাঈদ তালুকদারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
সখীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. সানিউল আলম বলেন, সাঈদ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। ওই সংসারে তাঁর আট ও দুই বছরের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ১৩ বছর ধরে সাঈদ সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সখীপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, সাঈদ তালুকদার ওই সময় অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করে আনুমানিক অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন। দীর্ঘদিন পরে হলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করায় সখীপুর থানা-পুলিশকে ধন্যবাদ।
সখীপুর থানার ওসি এ কে সাইদুল হক ভুইঁয়া বলেন, আবু সাঈদের নামে দুটি মামলায় সাজা হয়েছে। এর চেয়ে পুরোনো কোনো ওয়ারেন্ট সখীপুর থানায় নেই। তাঁকে ধরতে ছদ্মবেশ ধারণ করাসহ পুলিশকে নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে।