যশোরের শার্শায় স্কুলছাত্র সাকিব হাসানকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা করেছেন তার নানা আকবর আলী।
গত মঙ্গলবার রাতে তিনি শার্শা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। তবে লাশ উদ্ধারের দুই দিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা ইজিবাইকটি উদ্ধার করতে পারেনি।
নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাকিব হাসান বৃদ্ধ নানাকে সহযোগিতার জন্য মাঝেমধ্যে ইজিবাইক চালাতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার দুপুরে সে ইজিবাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনেরা।
তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে সীমান্তের ধলদা মাঠের একটি কুলবাগানে সাকিবের লাশ পাওয়ার খবর আসে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখমের চিহ্ন ছিল।
পুলিশ সাকিবের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ দিকে নাতিকে হারিয়ে এখনো বাকরুদ্ধ সাকিবের নানা আকবর আলী। শাকিব হত্যা হত্যাকারীদের দ্রুত আটকের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সাকিবের নানা আকবর আলী বলেন, ‘আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন সাকিবকে যারা খুন করেছে, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, আইনের লোকের কাছে আমার একটাই দাবি।’
শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাকিব হত্যায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’