সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাত মাস ধরে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন না ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ১৯৮ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি)। ফলে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা ওই হেলথ ভলান্টিয়াররা বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮ জন এমএইচভির সম্মানী ভাতা এখনো আসেনি। এলেই দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ মার্চে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) আওতায় দেশের ২৭ জেলার মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১৯৮ জন এমএইচভি নিয়োগ করে। তাঁরা মাসিক ৩ হাজার ৬০০ টাকা সম্মানী ভাতার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের টিকা ও ভিটামিন ক্যাম্পেইনে অতিরিক্ত কিছু ভাতা পেয়ে থাকেন।
উপজেলার তালম ইউনিয়নের উপরসিলেট কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতায় কর্মরত হেলথ ভলান্টিয়ার হাদিউল ইসলাম জানান, এমএইচভি কর্মীরা করোনার সময়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের গর্ভবতী নারী, রোগের তালিকা, খানার সংখ্যা, পরিবারে আয়-ব্যয়ের পরিমাণ ও সদস্যসংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করে তা অ্যাপসের মাধ্যমে আপলোড করেন। এ ছাড়া তাঁরা সপ্তাহে দুই দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে (সিসি) ডিউটি করেন। কিন্তু সাত মাস ধরে তাঁরা কোনো সম্মানী ভাতা ও অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক পান না। এতে ৮ ইউনিয়নের ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ১৯৮ জন এমএইচভি পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন তাড়াশ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ফিরোজ্জামান হিরা বলেন, এমএইচভিরা যে নিরলস পরিশ্রম করেন, সে জন্য তাঁদের প্রতি মাসের বেতন ও সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা উচিত।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মনোয়ার হাসান বলেন, ‘১৯৮ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারের সম্মানী ভাতা এখনো আসেনি। এলে দ্রুতই দেওয়া হবে।’