কয়েক দিন পর শুরু হবে বোরো ধান কাটা। আগাম জাতের ধান ইতিমধ্যে পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু ধান কাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষকের। ফলে আগৈলঝাড়া উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক ঘরে ধান তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হেক্টর বেশি।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, খেতে চলতি বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর গোপলগঞ্জ, ফরিদপুর, খুলনা, বাগেরহাট জেলার ধান কাটা শ্রমিকেরা আসেননি। এবারও বেশির ভাগ শ্রমিকেরা আসবে না বলে জানিয়েছে কৃষকদের। ফলে আগৈলঝাড়ার ধান চাষ করা কৃষকেরা পড়েছে মহাবিপদে।
কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকেরা মনে করছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোগ বালাই কম ছিল। ইতিমধ্যে আগাম জাতের ধান পাকা শুরু করেছে। হয়তো আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে এসব ধান কাটা শুরু হবে।
উপজেলার গৈলা গ্রামের খলিলুর রহমান, কালুপাড়া গ্রামের পশ্চিম সন্যামত, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের জালাল সরদার, কোদালধোয়া গ্রামের নবীন হালদারসহ একাধিক কৃষক বলেন, আমন আবাদে ধান পাকার পরেও ধান কাটতে হাতে কিছু সময় পাওয়া যায়। কিন্তু বোরো মৌসুমে নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। ফলে ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়। কয়েক বছর ধরে এমনিতে ধানের আবাদে নানা কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এই মৌসুমেও যদি শ্রমিকসংকটে সময়মতো ধান ঘরে তোলা না যায়, তাহলে ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে। তাই ধান ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিকদের আসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও রোগবালাই না থাকায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ধান কাটা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক এসে ধান কেটে ঘরে তুলে দিতেন। কিন্তু দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাটা শ্রমিক আসেননি।
কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, এবার শ্রমিকেরা যাতে এসে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে পারেন, সে ব্যাপারে বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।