নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অটোরিকশা চলাচল করতে না দেওয়ায় চালকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী-চাষাঢ়া সড়কে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এতে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। সড়কে প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকে রাস্তা অবরোধ করায় প্রায় ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় অবস্থান এবং অগ্নিসংযোগ করেন। ফলে গার্মেন্টসের শ্রমিক, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা হেঁটে গন্তব্যে যান। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রুবেল মিয়া নামের এক অটোচালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তায় অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। কয়েক দিন ধরে র্যাবের সদস্যরা প্রধান সড়কে অটো নিয়ে চলাচল করতে দিচ্ছেন না। প্রধান সড়কে অটো চালাতে না দিলে আমরা পরিবার নিয়ে কীভাবে চলব।’
আব্দুস সামাদ নামের এক অটোচালক বলেন, ‘আমরা সরকারের সব বিল পরিশোধ করি, তা-ও হঠাৎ করে প্রধান সড়কে চলাচল করতে দিচ্ছে না। অটো নিয়ে প্রধান সড়কে উঠলেই বাধা দিয়ে আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ লেকের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বলে। লেকের পাশের সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই ওই রাস্তায় অটো নিয়ে চলাচল করা সম্ভব নয়। রাস্তাটি গাড়ি চলাচলের জন্য উপযুক্ত করে দিলে আমাদের আর কোনো আপত্তি নেই।’
এদিকে অবরোধে দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকা জব্বার মিয়া নামের এক ট্রাকচালক জানান, সকাল থেকে তাঁরা একই জায়গায় বসে আছেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় কোনো পণ্য নিয়ে সড়কে চলাচল করা যাচ্ছে না।
ভোগান্তিতে পড়া আজিজুল হাকিম নামের এক কলেজশিক্ষার্থী বলেন, সকালে কলেজের উদ্দেশে বের হয়েছিলাম, কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় বাসায় চলে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, অটোচালকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন থেকে প্রধান সড়কে অটো চলাচল করতে হলে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতে হবে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা করে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করা যাবে না।
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ‘আমরা কোনো চালককেই অটো চলাচল বন্ধ করতে বলিনি। তাঁরা অবশ্যই অটো চালাবেন। কিন্তু নিয়ম মেনে চালাতে হবে।’