ভেঙে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামের খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। অনেক দিন আগে সেতুটির ঢালাই ধসে রড বের হয়ে গর্তে পরিণত হয়েছে। সেতুটির রেলিংও ভেঙে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর আগে বংকুরা গ্রামে মেম্বার বাড়ির পাশে খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে সেতুটিতে ঢালাই খসে রড বের হয়ে গর্ত হয়ে গেছে। রেলিং ভেঙে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। গর্তের কারণে সেতুটি দিয়ে মাঝারি যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না।
সাবেক ইউপি সদস্য সোহেল সরদার জানান, ২৫ বছর পূর্বে বংকুরা গ্রামে তাঁর বাড়ির পাশে খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এটি দিয়ে বংকুরা, নোয়াপাড়া, চন্দ্রহার, পূর্ব চন্দ্রহার, বাহাদুরপুর ও কেফায়েতনগর গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার বাসিন্দা যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুইটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি আরও জানান, গত দুই বছর ধরে রেলিং ও ঢালাইয়ের একাংশ খসে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুর রহমান বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামে খালের ওপর নির্মিত জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুল, মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিকে লোকজন যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। তাই সেতুটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষা করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মাটি পরীক্ষা হয়ে এলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।