ঘাটাইলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ঘটনায় হৃদয় (১৮) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হৃদয় উপজেলা আথাইল শিমুল গ্রামের বাসিন্দা। এ দিকে আহত ওই ছাত্রী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর ধরে হৃদয়ের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে দুই পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। দুই বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হবে এমন সিদ্ধান্ত নেয় উভয় পরিবার। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একটি লিখিত সমঝোতাও হয়। এর কিছুদিন পর হৃদয় ওই ছাত্রীকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু ওই ছাত্রী নিষেধ উপেক্ষা করে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হৃদয় এবং মেয়েটিকে হুমকি দেন। এরপর ওই ছাত্রী হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে হৃদয় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় হৃদয় মেয়েটির বাড়িতে যান। হৃদয়ের কথা শুনে ঘর থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান হৃদয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রীকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গত ২৪ অক্টোবর মেয়েটির নানা ঘাটাইল থানায় হৃদয়কে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর পরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’