ফরিদপুরের সদরপুরে মো. হাবিবুর রহমান নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত মো. হাবিবুর রহমান ৩৩ নম্বর ডিক্রীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত পত্রে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
হাবিবুর রহমানের বাবা আব্দুস সামাদ মিয়া সদরপুর উপজেলার ৩৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর হাবিবুর রহমান সেই স্কুলে চাকরি পান। পরবর্তীতে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে হাবিবুর রহমানের বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা রোকেয়া বেগম পেনশনের টাকা উত্তোলন করতেন। রোকেয়া বেগম ২০১৫ সালের এক জানুয়ারি মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত হাবিবুর রহমান ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৬ টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্তে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, একটি চিঠি পেয়েছি। নির্ধারিত সময়েই চিঠির জবাব দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, ‘হাবিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার চিঠি পেয়েছি।’