ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি হলেও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে ইমিগ্রেশনে তাপমাত্রা মাপা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা ট্রাক চালকেরা। এতে বন্দর এলাকা ওমিক্রনের সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর এলাকায় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা বিদেশি চালক, যাত্রী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কর্মচারী—কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। ওমিক্রন নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের তেমন নজরদারি নেই। ইমিগ্রেশন যাত্রীদের নামমাত্র তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। বিদেশি চালকদের মাপা হচ্ছে না তাপমাত্রা, ট্রাকে ছিটানো হচ্ছে না জীবাণুনাশক। এমনকি মাস্ক পরছেন না অনেকে।
সচেতন মহল মনে করছে, পণ্য খালাস হওয়ার আগপর্যন্ত বিদেশি চালকেরা বন্দর এলাকায় রাত যাপন করছেন, অনেকে আবার অবাধে ঘুরছেন। এই অবস্থায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে প্রকৃতপক্ষে পঞ্চগড়ের জন্য করোনার নতুন এই ধরনের জন্য আশঙ্কাজনক স্থান হবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
ভারতীয় ট্রাকচালক গোবিন্দ রায় বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য খালাস করে ভারতে প্রবেশ করি, তখন আমাদের তাপমাত্রা রেকর্ড করে, গাড়ি স্প্রে করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিলেও বাংলাদেশে এসে কিছুই দেখিনি। কোনো স্প্রে, তাপমাত্রা নির্ণয় এমনকি কাউকে মাস্ক পরতে দেখছি না। খুব আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে পণ্য নিয়ে আসা বাংলাদেশি চালক কুদরতউল্লাহ বলেন, ‘বন্দরে এসে ভারত, ভুটান ও নেপালের চালকেরা সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক না পরে যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
বাংলাবান্ধা আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই খুদা মিলন বলেন, ‘ভারতে নতুন করোনার ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়েছে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরে ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা করছি।’
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের পোর্ট ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ বন্দরে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে, সে জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে।’