হোম > ছাপা সংস্করণ

ছবিতে অভিনয়

সম্পাদকীয়

শচীন দেববর্মন ছিলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের ছেলে। ১৯২৪ সালে যখন বিএ পাস করলেন, তখন তাঁর বাবা ত্রিপুরার মন্ত্রী নবদ্বীপচন্দ্র বর্মন তাঁকে নিয়ে এলেন কলকাতায়। ১৯২৫ সালে কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে ত্রিপুরা প্যালেসে বসবাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করালেন ইংরেজিতে এমএ পড়ার জন্য। কিন্তু শচীন কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। ছেড়ে দিলেন এমএ পড়া। বাবা জোর করে ভর্তি করালেন আইন পড়াতে। সেটাও ভালো লাগল না। বাবা চাইলেন বিলেত গিয়ে স্টেটের কাজকর্ম প্রশাসন শেখাতে। সেটাও চাইলেন না শচীন। তিনি চাইলেন গান। ৯০ বছর বয়স্ক ওস্তাদ বাদল খাঁর কাছে তালিম নিলেন। গানে গানে যাচ্ছিল সময় কেটে। কিন্তু একদিন এল অভিনয়ের ডাক।

সে সময় চলচ্চিত্রের বিখ্যাত প্রযোজক ও পরিচালক মধু বসুর সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে শচীনের। তিনি তখন ‘সেলিমা’ নামে একটি ছবি করছেন। সেই ছবিতেই ভিখারির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শচীন।

মধু বসু তাঁর স্ত্রী সাধনা বসুকে নিয়ে থাকতেন চৌরঙ্গী প্লেসে। সাধনা বসু গান শিখতেন শচীনের কাছে। শচীন ছাড়াও তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত আসতেন মিহিরকিরণ ভট্টাচার্য আর সুরসাগর হিমাংশু দত্ত।

‘সেলিমা’ ছবিতে ভিখারির ভূমিকায় শচীনের অভিনয়ের গল্পটি জানা যায় মধু বসুর ‘আমার জীবন’ নামের আত্মজীবনীতে। তিনি লিখেছেন, ‘তাকে (শচীনকে) একদিন কথায় কথায় বললাম, ‘‘একটি ছোট ভিখারির ভূমিকা আছে, কাজ বিশেষ কিছু নেই—শুধু বসে বসে একটি গান করতে হবে আর কিছু নয়।’’ শুনে সে চমকে উঠল। বলল, ‘‘বলেন কী মি. বোস? আমি ফিল্মে নামব কী? জানেন তো আমার পরিবারকে। আমি যদি ফিল্মে নামি, তাহলে তাঁরা নির্ঘাত আমায় একঘরে করবেন।’’ আমি বললাম, ‘‘তোমার এমন করে মেকআপ করে দেব, দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে যে কেউ চিনতে পারবে না।…গানটি সে খুবই ভালো গেয়েছিল। এই ব্যক্তিটি হলো আজকের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক কুমার শচীন দেববর্মন।’

সূত্র: শচীন দেববর্মন, সারগামের নিখাদ, পৃষ্ঠা ৫০-৫৮

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ