খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বরাদ্দের অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ের বোদা পৌর এলাকায় ওএমএসের (খোলা বাজারে) চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। পৌর এলাকার তিনটি স্থানে তিনজন ডিলারের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা। গাদাগাদি করে চাল ও আটা কিনছেন মানুষ। স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে বিক্রি করা হচ্ছে চাল ও আটা। কোনো কোনো ডিলার দায়িত্বরত কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়াই বিক্রি করছেন। এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল বা আটা কিনতে পারলেও অনেকেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে বেশিও পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ওএমএসের চাল নিতে মানুষের ভিড়। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে পণ্য সংগ্রহ করছেন।
বোদা বাসস্ট্যান্ডের সাতখামার থেকে আসা খলিলুলাহ জানান, ‘অনেককে ১০ কেজি করে চাল আটা দেওয়া হচ্ছে। একেক জনের ক্ষেত্রে একেক নিয়ম।’
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে ছয় দিন চিল ও আটা বিক্রি করা হবে। প্রতিজন ৫ কেজি করে তুলতে পারবেন। প্রতিদিন এক টন চাল ও এক টন আটা বিক্রি করা হবে। তিনজন ডিলার প্রতিদিন তিন টন চাল ও তিন টন আটা বিক্রি করবেন।
ওএমএসের সংশ্লিষ্ট ডিলারদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য চেষ্টা করছেন তাঁরা। কর্মসূচির প্রথম দিনে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বোদা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘অনিয়ম হওয়ার কথা নয়। কোনো ডিলার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোলেমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি যেন উপেক্ষিত না হয় সে দিক খেয়াল রাখা হবে।’