মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় গতকাল শনিবার রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদে তিন হাজার মানুষকে দেওয়া হবে করোনার টিকা। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও ঘোষণা দিয়ে জানান এ খবর। এমন খবর পেয়ে টিকাকেন্দ্রে ভিড় জমে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। তবে শেষমেশ টিকা দেওয়া হয় দুই হাজার মানুষকে। আর বাকিরা টিকা না পেয়ে বাড়ি ফেরেন ভোগান্তি আর ক্ষোভ নিয়ে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা ভুল খবর শুনেছেন এবং মানুষকে জানিয়েছেন। আগেই জানানো হয়েছে উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রতি চারটি বুথে দুই হাজার করোনার টিকা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মনিরামপুর হাসপাতালে চাপ কমাতে ইউনিয়নে পরিষদে করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা তিন হাজার টিকাদানের ঘোষণা দেন। ঘোষণা পেয়ে সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদে টিকা গ্রহীতাদের ভিড় জমে। দুপুর ১২টার দিকে ঘোষণা আসে টিকা শেষ। আর কেউ টিকা পাবেন না।
গতকাল শনিবার উপজেলার রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদে ঘটে এমন ঘটনা। যখন এমন ঘোষণা আসে তখনো পরিষদে এক হাজারের অধিক লোক টিকার অপেক্ষায় ছিলেন। পরে টিকা না পেয়ে ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী রাশিদা আক্তার বলেন, ‘গতকাল শনিবার রোহিতা ইউনিয়নে তিন হাজার টিকা দেওয়া হবে—এমন তথ্য আমাদের আগেই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। আমরা সে হিসেবে ইউনিয়নে ঘোষণা দিয়েছি। কিন্তু সকালে হাসপাতাল আমাদের কাছে ২ হাজার টিকা হস্তান্তর করা হয়।’
রোহিতা শেখপাড়া গ্রামের মমিনুর বলেন, ‘আগেও টিকার জন্য আইসে ফিরে গিছি। আজও টিকা নিতি পারিনি।’
ওই গ্রামের জাহিদা বেগম বলেন, ‘সকালে বাড়ির কাজ ফেলে টিকা নিতি আইছি। দুপুর পর্যন্ত বসায় রেখে এখন কচ্ছে টিকা নেই।’
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীরা ভুল শুনেছেন। সিভিল সার্জন অফিস থেকে ইউনিয়ন প্রতি চারটি বুথে দুই হাজার করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার রোহিতা, ঝাঁপা, খানপুর, দুর্বাডাঙা ও মনোহরপুর ইউনিয়নে ১০ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে।’
ডা. শুভ্রা রানী আরও বলেন, ‘শুনেছি রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদে দুই-এক শ লোক টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন। সামনে আবারও টিকা দেওয়া হবে।’