রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল ও চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এতে করে মিঠাপুকুরে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো। প্রতিদিনকার সংসার চালাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গৃহিণীদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক গৃহিণীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা সবাই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মিঠাপুকুর বাজারে দরজির কাজ করেন সেতারা বেগম। স্বামী অসুস্থ। তাঁর রোজগারেই সংসার চলে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি বলেন, পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে সরকার চুপ থাকায় কষ্টে আছেন তাঁরা।
চিথলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের ঝরনা রানী বলেন, খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। তিনি গ্যাস, তেল ও চালের দাম কমানোর দাবি জানান।
গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে কাজ করেন বড়বালা ইউনিয়নের আটপুনিয়া গ্রামের ফরিদা বেগম। তিনি মাসে বেতন পান সাড়ে ৭ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা সঞ্চয় হিসেবে কেটে নেওয়া হয়। বর্তমান আয়ে সংসার চালাতে পারছেন না। তাঁর ক্ষোভ, গরিবের কথা কেউ ভাবেন না।
চাকরিজীবী শিউলি বেগম জানান, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কম তেলে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতে তরকারির স্বাদ না হওয়া স্বামীর বকা খেতে হচ্ছে।
এ রকম অনেক গৃহিণীর সঙ্গে কথা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় তাঁরা সবাই ক্ষুব্ধ। তাঁদের চাওয়া, অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি রোধে সরকার যেন কঠোর পদক্ষেপ নেয়।