যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার দাবিতে বরিশাল নগরীতে শত শত ইজিবাইক চালক বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে একপর্যায়ে প্রধান সড়ক সদর রোড অবরোধ করে ফেলেন তাঁরা। ফলে প্রায় দুই ঘণ্টা সদর রোড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে ইজিবাইক শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে। ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ হলেও এর নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতারা।
এদিকে চালকদের বিক্ষোভের কারণে গতকাল সোমবার সকাল থেকে নগরীতে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ ছিল। এতে নগরীতে যানবাহন সংকট দেখা দেয়। মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের নিবন্ধনভুক্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক আছে দুই হাজার ৬১০টি। তবে নগরীতে ৫ হাজারের বেশি ইজিবাইক চলাচল করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিই নগরীতে গণ পরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হচ্ছে, যানবাহনগুলোকে যুক্ত করে প্রস্তাবিত ‘থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা-২০২১ দ্রুত চূড়ান্ত করা, নিবন্ধন করাসহ রুট পারমিট ও লাইসেন্স দেওয়া, ভিন্ন মডেলের তিন চাকার যানবাহন আমদানি ও ব্যবসার নামে ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান উচ্ছেদের চক্রান্ত বন্ধ এবং এ ধরনের যানবাহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫০ লাখ পরিবারের জীবন-জীবিকা ধ্বংস না করা।
সমাবেশ ও মিছিল শেষে এসব দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএর সহকারী পরিচালকের মাধ্যমে চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
রিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব বরিশাল জেলা বাসদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাসদের জেলা সদস্যসচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তী, শ্রমিক নেতা দুলাল মল্লিক, ইজিবাইক মালিক শহীদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের আবুল বাশার, আব্দুল জব্বার, মো. সোহেল, মো. রফিক, মনির হোসেন প্রমুখ।