যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মেয়র পদে ৮ জন, কাউন্সিলর পদে ৬৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন তাঁদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সব মিলিয়ে ৯২ জন বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক না পাওয়া দলের ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের তিন নেতা মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জাম দিয়েছেন। গত বুধবার ছিল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন।
মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, দলের সাবেক সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আমানুল কাদির টুল্লু।
এ ছাড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছেলিমুল হক সালাম মেয়র পদে প্রার্থিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা বিএনপির নেতারাও নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিচ্ছেন।
মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ, পৌর বিএনপি নেতা হায়ুন কবির, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন।
১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১১ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪ জন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬ জন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ১২ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে ঝিকরগাছা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর পর সীমান্ত জটিলতায় চলা মামলার কারণে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ২০ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর এবং ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি।
সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে পৌসরভা নির্বাচন বন্ধ রয়েছে ঝিকরগাছায়। ফলে তফসিল ঘোষণায় উৎসবের আমেজ দেখা গেছে পৌরবাসীর মাঝে। বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কোনো প্রার্থী প্রচার শুরু করেছেন।