আমেনা আক্তার। শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায় বাবার বাড়িতে ফেরেন অভাবী পরিবারের কলেজ পড়ুয়া আমেনা। হাতের মেহেদীর রং মোছার আগেই শত বাঁধা পেছনে ফেলে স্বপ্ন দেখেন নিজ উদ্যোগে কিছু করার।
নিজ চেষ্টা আর পরিশ্রম দিয়ে শুরু করেন উন্নতমানের আচার তৈরি। অল্প সময়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখায় পেয়েছেন ‘জয়িতা’ সম্মাননা। তাঁর ইচ্ছে নিজের তৈরি আচার নিয়ে বিশ্বমানের ব্র্যান্ড বানাতে চান।
জেলার মানিকছড়ি উপজেলার পশ্চাৎপদ জনপদ ছদুরখীল এলাকার দরিদ্র কৃষক মো. মফিজ মিয়া ও গৃহিণী মোর্শেদা বেগমের মেয়ে আমেনা আক্তার। পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণ নিজ স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে কলেজ পড়ুয়া আমেনাকে পরিবারের ইচ্ছায় বসতে হয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে।
বিয়ের পরই কর্মহীন স্বামীকে নিয়ে তাঁর জীবনে শুরু হয় নতুন অধ্যায়। স্বামীর পরিবারে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে চলে আসতে হয় বাবার বাড়িতে।
আমেনা বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের চেষ্টা আর পরিশ্রম আমাকে সফলতার পথ দেখিয়েছে। জয়িতা সম্মাননাও পেয়েছি। তারপরও প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে হয়।’