সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মহানগর বিএনপি প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন উপস্থিত হয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর ও আবু সুফিয়ানকে পানি ও ফলের শরবত পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দেশে একটা দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে। তবে সরকার উন্নয়নসহ নানা ধরনের মন ভুলানো কথা বলছে। বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষ না খেয়ে, আধপেট খেয়ে দিন যাপন করছে। শুধু নিম্ন ও মধ্যবর্তী মানুষ নয়, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাও টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, শুধু দুর্ভিক্ষের ছায়া না, দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা সরকারের নেই। সরকার হরিলুট ও দুর্নীতির আদর্শে অনুপ্রাণিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের যে ক্রোধ, তা থেকে সরকার রক্ষা পাবে না।’
বাজার সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চাল, ডাল, তেল, মরিচসহ নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিসিবির লাইনে উপচে পড়া ভিড় ইচ্ছে। কারণ মানুষ চাচ্ছে কম দামে কিছু পেতে। সেখানে দেখা যায় ২-৩ ঘণ্টা পর আর কিছু নেই। মানুষ খালি হাতে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। প্রত্যেকটি জায়গায় সিন্ডিকেট মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সোমবারও গ্যাসের দাম ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। গ্যাসের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস জড়িত থাকার কারণেই দাম বৃদ্ধি পাবে। সরকারের জনগণের জন্য কোনো মায়া দরদ নেই। ফলে তারা এই কাজগুলো করতে পারে। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৭ মার্চের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান আবুল হাশেম বক্কর।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারা দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে যদি আবারও পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে আবার সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। বিএনপি যেকোনো রকমের মূল্য বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী।