ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গৃহবধূ আঞ্জুয়ারা আকতারের শরীর মাংসের গরম ঝোল ঢেলে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর উঠেছে স্বামী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আঞ্জুয়ারা সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। এর আগে ওই দিন দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের কুশলডাঙ্গী ধারিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ জানান, গত বৃহস্পতিবার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রান্না করা গরম মাংসের ঝোল গায়ে ঢেলে দেন। ঝলসে যাওয়া শরীরে পানি দিয়ে গোসলখানায় ধোয়ার সময় লাঠি নিয়ে তাড়া করেন মারধরের জন্য। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তিনি বাড়ি থেকে চলে যান।
গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার পর আমার চিকিৎসা না করে ঘরবন্দী করে রাখেন। গত সোমবার আমার বাবা এসে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।’ এমন স্বামীর সঙ্গে কীভাবে সংসার করবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
গৃহবধূর বাবা কমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে মেয়ে। এর আগেও মেয়ের হাত ভেঙে দিয়েছিল।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর বলেন, ‘মাংস রান্না করার সময় কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মাংসের বাটি নিয়ে কাড়াকাড়ির একপর্যায়ে তাঁর গায়ে পড়ে যায়। ইচ্ছে করে আমি গায়ে গরম মাংসের ঝোল ফেলে দিইনি।’
হাসপাতালে দায়িত্বে সেবিকা বলেন, ‘পেটে, দুই হাতে ও কোমরের অংশটুকু ঝলসে গেছে। শুরু থেকে চিকিৎসা করলে দ্রুত সারানো সম্ভব ছিল। চিকিৎসা চলছে। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার উপপরিদর্শক খাদেমুল করিম বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে মেয়ের বাবা মামলা মোকদ্দমায় না জড়াবে না বলে পুলিশকে জানানোর কারণে এখনো পরবর্তী মামলা রুজু হয়নি।’