পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের দিন গত রোববার একটি ভোটকেন্দ্রে অতর্কিত হামলা চালিয়ে চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা।
সন্ধ্যায় উজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ফল ঘোষণার পর নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার মুহূর্তে এই হামলা চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ওই কেন্দ্রে ওয়ার্ড কমিশনার পদে কবিরুল ইসলাম ও রাজা মিয়ার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনের ফলে কবিরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চাইতে ২১১ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন।
এ ফল ঘোষণার পর ভোটের লোকজন নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে রাজা মিয়ার সমর্থকেরা বিনা উসকানিতে গাড়িবহরে আকস্মিক হামলা চালিয়ে চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে বিজিবির তিন সদস্যসহ ১০ জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হননি।
পীরগঞ্জ পৌরসভায় রোববার দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে। তবে ইভিএমে ভোট হওয়ায় কিছু কেন্দ্রে ভোট নিতে দেরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।