বাগেরহাট জেলায় ১৮ লাখ ডিমের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৪০ লাখ ডিম। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও যাচ্ছে বাগেরহাটের ডিম। বাগেরহাটে ডিমের উৎপাদন আরও বৃদ্ধির জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাগেরহাটে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. লুৎফর রহমান এসব তথ্য জানান। ‘প্রতিদিন ডিম খাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল শুক্রবার জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এ সভা হয়।
সভায় বাগেরহাট আঞ্চলিক হাস প্রজননকেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক এ এফ এম ফয়জুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, উপসহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শেখ ইকরামুল কবির, সফল খামারি শেখ জাহিদ হোসেন, খামারি রুহুল আমিন ও কুদ্দুসসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিমের বিকল্প নেই। তবে সেই ডিম হতে হবে নিরাপদ। নিরাপদ ডিম উৎপাদনে বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাসায়নিক ও ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার কমিয়ে অরগানিক পদ্ধতিতে ডিম উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেন বক্তারা। এ ছাড়া জেলার খামারিদের আরও বেশি করে ডিম উৎপাদন করতে অনুরোধ করা হয়।
এর আগে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।