বরিশালের বাবুগঞ্জে মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সুযোগে জেলেরা অবাধে মা ইলিশ শিকার করছেন।
উপজেলার সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ এই তিন নদীতেই মৌসুমি জেলেরা মা ইলিশ মাছ শিকার করেছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মোল্লার হাট এলাকার বাসিন্দা মো. রবিউল ইসলাম জানান, ভোর রাতের দিকে প্রশাসনের লোকজন না থাকায় স্থানীয় একটি অসাধু মহলের ছত্র ছায়ায় চরমালঙ্গা, ছানি কেদারপুর, মোল্লার হাট, ভাঙ্গারমুখ, ছোট মীরগঞ্জ, রাজগুরু, নোমরহাট, রফিয়াদী এলাকার দুই শতাধিক নৌকা তিনটি নদীতে ইলিশ শিকার করে।
কেদারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূতের দিয়া ও ছানি কেদারপুর এলাকায় স্থানীয় শামসুল আলমের নেতৃত্বে নদীতে মাছ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন শামছুল আলম।
কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন জানান, সরকারি সহায়তা পেয়েও কেদারপুর ইউনিয়নে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করছেন। জেলেদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু অসাধু চক্র প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে নদীতে নামছেন। মাছ শিকার বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নিয়মিত জেলেদের সঙ্গে মৌসুমি জেলেরা যোগ হয়ে মা ইলিশ শিকার করছেন। ভোর রাতে প্রশাসনের কোনো অভিযান না থাকায় জেলেরা অবাধে ইলিশ শিকার চালিয়েছেন। জেলেদের ধরা এসব ইলিশ বাজারে বিক্রি করতে যেতে হয় না। উৎসুক ক্রেতারা ব্যাগ, বস্তা নিয়ে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষার অভিযান চলমান রয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা তিনটি নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় ৩টি দলকে নদীতে অভিযান চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অসহযোগিতার কারণে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। মৎস্য অভিযান সফল করার জন্য প্রত্যেকটি স্পটে একটি করে বোটসহ প্রশাসনের লোকেরা নিয়োজিত থাকলে মা ইলিশ নিধন বন্ধ করা সম্ভব।