শিক্ষকতার পাশাপাশি গাভির খামার করে সফল হয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ভিটিপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক মাজহারুল ইসলাম ফারুক। পাঁচটি গাভি নিয়ে শখের বশে শুরু করলেও এখন তা পরিণত হয়েছে বাণিজ্যিক খামারে। তাঁর খামারে এখন ৩৩টি গাভি রয়েছে। তাঁর সফলতা দেখে অনেক শিক্ষিত যুবক এখন খামার গড়তে আগ্রহী হচ্ছেন।
গত শনিবার বিকেলে ওই খামারে গিয়ে দেখা গেছে, দুটি শেডে খাবার খাচ্ছে গাভিগুলো। পাশেই ফারুক মিয়া শ্রমিকদের নিয়ে খাবার তৈরি ও গাভিগুলোর দেখাশোনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘উপজেলার সাটিয়াদী পরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে গাভির খামার করেছি। অবসর সময়ে খামারে সময় দিই। গাভির পরিচর্যায় তিনজন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। ১০ লাখ টাকায় পাঁচটি গাভি দিয়ে শুরু হলেও ছোট-বড় মিলিয়ে এখন খামারে গাভির সংখ্যা ৩৩, যার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ১০টি গাভির দুধ বিক্রি করে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা পাচ্ছি।’
ফারুখ আরও বলেন, ‘তবে গত দুই বছরে গোখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। কেননা প্রতিদিন ছয় হাজার টাকার গো-খাদ্য কিনতে হচ্ছে। শ্রমিক খরচ দিয়ে এখন ভর্তুকি দিয়ে খামার চালাতে হচ্ছে। অনেকেই প্রণোদনা পেয়েছেন। আমি পাইনি। খামার বাঁচাতে আমার সরকারি প্রণোদনা দরকার।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ফারুক মাস্টার একজন সফল খামারি। প্রণোদনার জন্য তাঁর নাম তালিকাভুক্ত করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। তবে কেন তিনি প্রণোদনা পাননি, সেটি খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।