নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সাপাহারে দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিয়ামতপুরে উদ্ধার করা গৃহবধূর নাম আশা খাতুন (১৮)। তিনি পাঁড়ইল ইউনিয়নের কুড়াপাড়া মিয়াপখরা গ্রামের আসাদুল ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আশা খাতুনের মা রোকশানা বেগম থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস আগে নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের বালাহৈর গ্রামের মিনহাজুলের (২১) সঙ্গে বিয়ে হয় আশা খাতুনের। গত সোমবার রাতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার করা হয় তাঁর। এ সময় ঘরে তাঁর স্বামী মিনহাজুল ছিলেন।
মিনহাজুল দাবি করেছেন, ঘুম ভাঙলে স্ত্রীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন তিনি। এরপর বাড়ির সদস্যরা মিলে লাশটি নিচে নামায়। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আশা খাতুনের মা রোকশানা বেগম গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আমার মেয়ে বিয়ের পর থেকেই অশান্তিতে ছিল। গতকাল (সোমবার) আমি আমার মেয়েকে নিতে এসেছিলাম কিন্তু তাঁরা আমার মেয়েকে যেতে দেয়নি।’
নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহটি নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আর নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় গত সোমবার দিবাগত রাতে উদ্ধার করা হয়েছে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ। তাঁর নাম ফটিক চন্দ্র বর্মণ (৫০)। তিনি পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ফটিক চন্দ্র বর্মণ গত সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাতেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁকে খোঁজা শুরু করেন। সে সময়ে পালপাড়া এলাকার আমবাগানে পাকুড় গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ দেখতে পান সেখানে কাজ করা লোকজন।