মঠবাড়িয়ায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান গাজীর (২৬) মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ বলছে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে এক নারীকে বিয়ে করতে না পারার হতাশা এবং ওই নারীর প্ররোচনায় ইমরান আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
তবে নিহত ইমরানের পরিবার তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি ওই নারী ও তার স্বজনরা ইমরানকে হত্যা করিয়েছে।
অভিযুক্ত ফাতিমা বেগম (৩৮) নামের ওই নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে। ফাতিমা বেগম পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার পোস্ট অফিসের রানার হারুন অর রশিদের স্ত্রী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী দুই সন্তানের জননী ওই নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ইমরান গাজীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ইমরান ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই নারী এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। এতেই অভিমানী ও আবেগী হয়ে পড়ে ইমরান। এ ছাড়া ঘটনার দিন ওই নারীকে দেখা করার কথা বলে দেখা না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। ওই নারী দেখা না করায় তার ওপর অভিমান করে ইমরান গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
তবে নিহতের ভাই আবদুল্লাহ গাজী অভিযোগ করেন, তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে আমরা মামলা করব।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, মোবাইলের কল লিস্ট দেখে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী ইমরানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে। পরে ৫৪ ধারার মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।