হোম > ছাপা সংস্করণ

‘ছাত্রলীগ’কে কি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না

সম্পাদকীয়

ছাত্রলীগ নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশ হওয়াটা যেন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ১৫ বছর ধরে ছাত্রলীগ মূলত আলোচনায় এসেছে ধর্ষণ, হত্যা, মাদক কারবার, নিয়োগ-বাণিজ্য,

শিক্ষার্থী নির্যাতন-হয়রানি, হলের সিট দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও টেন্ডারবাজির কারণে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেখানকার ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের এক নেতার বিরুদ্ধে ক্যানটিনের মালিক ও ম্যানেজারকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্যান্টিনের মালিক তাঁর কাছে বকেয়া টাকা চাওয়ার কারণে তাঁদের এভাবে মেরে আহত করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।

ভালো কাজের জন্য ছাত্রলীগ গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে—এমন নজির খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রসংগঠন ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ এরশাদবিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু এখন জনগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো আন্দোলনে ছাত্রলীগকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে হামলা চালিয়েছেন সংগঠনটির কর্মীরা। কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের মতো কিশোরদের যৌক্তিক আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগও তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ থেকে কমিশন দাবি, টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ দেওয়া, অবৈধভাবে ক্ষমতা প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী জড়িয়ে পড়েছেন নানা অপকর্মে। এসব দেখে মনে হয়, এই ছাত্রসংগঠনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আরও মনে হয়, কেন্দ্র পুরোপুরি ব্যর্থ সব শাখাকে নিয়ন্ত্রণ করতে।

আওয়ামী লীগের কিছু কেন্দ্রীয় নেতাও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের অপকর্ম নিয়ে  ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বন্ধ হয়নি।

এসব অপকর্মের ভার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ওপরেও বর্তায়। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে অল্প কিছু ঘটনায় কয়েকজনকে বহিষ্কার করলেও বেশির ভাগ ঘটনায় কেন্দ্র নীরব ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগও ছাত্রলীগের অপকর্মের দায় এড়াতে পারে না। কারণ এই ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অস্বীকার করার সুযোগ নেই, ছাত্রলীগ এখন আওয়ামী লীগের বোঝা হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ কত দিন এই বোঝা বহন করবে? দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনবোধে তাৎক্ষণিকভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করতে হবে। যাতে করে নতুন কোনো অপকর্ম করার সুযোগ কেউ না পায়। শাস্তি দেওয়া ছাড়া কোনো ধরনের অপকর্ম রোধ করার দ্বিতীয় কোনো বিকল্প আমরা দেখছি না। সংগঠনের আড়ালে থাকা অপরাধীরা যদি শাস্তি না পায়, তাহলে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙে পড়বে। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সই ছাত্রলীগকে স্বাভাবিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেবে। নইলে যা চলছে, তাতে সংগঠনের মান বজায় রাখা কঠিন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ