হোম > ছাপা সংস্করণ

পন্টুনের অভাবে ভিড়ছে না লঞ্চ, দুর্ভোগে যাত্রী

মনজুর রহমান, লালমোহন (ভোলা) 

ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের কাসেমগঞ্জ বাজার লঞ্চঘাটে পন্টুনের অভাবে চার বছরের বেশি সময় ধরে ভিড়ছে না লঞ্চ। ফলে যাত্রীদের উপজেলা সদর বা চরফ্যাশন উপজেলার দীর্ঘ পথ ঘুরে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লঞ্চে চলাচল করা এই অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

বারবার পন্টুন স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি।

জানা গেছে, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার সীমান্তবর্তী লর্ড হাডিঞ্জ ইউনিয়নের কাসেমগঞ্জ লঞ্চঘাট। ওই এলাকার ৫টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঢাকা, নোয়াখালী, হাতিয়া, মনপুরা ও আলেকজেন্ডারসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। এ অঞ্চলের মানুষ সাধারণত লঞ্চে যাতায়াত করেন বেশি। কিন্তু উপজেলার কাসেমগঞ্জ লঞ্চঘাটে চার বছর ধরে পন্টুন না থাকায় লঞ্চ ভিড়ছে না। এতে এই ঘাট থেকে লঞ্চে উঠতে না পারায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এদিকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লঞ্চে ওঠায় একদিকে যেমন অতিরিক্ত সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, পন্টুন না থাকায় কর্তৃপক্ষ ঘাটে লঞ্চ ভেড়াচ্ছে না, যাত্রীও তুলছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, ‘আগে লঞ্চ ভিড়ত এই ঘাটে। পন্টুনের অভাবে কয়েক বছর ধরে আর লঞ্চ ভেড়ে না। এতে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’

যাত্রী মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘পন্টুন না থাকার কারণে লঞ্চ নোঙর করে না। এতে আমাদের বহু পথ ঘুরে লঞ্চে উঠতে হয়। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া ও সময় নষ্ট হচ্ছে।’

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য বারবার কাসেমগঞ্জ বাজার লঞ্চঘাটে পন্টুন স্থাপনের দাবি জানানো হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

লর্ড হাডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও ঘাটে পন্টুন না থাকায় এখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। এ অঞ্চলের মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে পন্টুন স্থাপন জরুরি। আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু আজও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিআইডব্লিউটিএ। দীর্ঘদিন থেকে এ অঞ্চলের খাদ্যশস্যও বহন করা হচ্ছে না।’

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘাটের ব্যাপারে আমাদের বিবেচনায় আছে। শিগগির লঞ্চঘাটটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সেখানে পন্টুন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ