দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের বাকি মাত্র পাঁচ দিন। অথচ আদালতের দরজায় ঘুরে ঘুরেই সময় পার হচ্ছে বরিশাল-৫ (সদর উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। একই অবস্থা বরিশাল-৪ (হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদের। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই দুই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দুই প্রার্থীর প্রার্থিতা টিকে গেলে বরিশাল-৪ এবং বরিশাল-৫ আসনে ভোটের লড়াই বেশ জমে উঠবে। জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে গত ৪ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। যদিও ওই দিন প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুকের আইনজীবী আপত্তি তোলেন। একই দিন বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মীর প্রার্থিতা অস্ট্রেলিয়ায় দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। আমেরিকায় দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। একই দিন শুনানিতে ড. শাম্মীও মনোনয়ন ফিরে পাননি।
কমিশনের এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে গত ১৮ ডিসেম্বর ফের প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। কিন্তু পরদিনই ১৯ ডিসেম্বর এই আদেশের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহিদ ফারুক চেম্বার জজ আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে ফের আটকে যায় সাদিকের প্রার্থিতা। আদালত সাদিকের প্রার্থিতা ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাদিক এবং শাম্মী একই চেম্বার আদালতে রিভিউ আবেদন করলে আদালত তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।