হোম > ছাপা সংস্করণ

মুক্তাগাছায় ১৩ বিদ্রোহী নিয়ে বিপাকে আ.লীগ

হোসাইন আহাম্মেদ সুলভ, মুক্তাগাছা

মুক্তাগাছায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১৩ বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন উপলক্ষে দলের প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে সাতটিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। এ ছাড়া বাকি তিন ইউপিতে বিএনপি নেতা ও অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হবে নৌকার প্রার্থীদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিল চারটি ইউপিতে। আর বিএনপির ধানের শিষ প্রতীকে জয়ী হয় চারটিতে। দুটি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। এবার আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, পিপলস পার্টি ও বিএনপির স্বতন্ত্রসহ ৬০ জন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

দলীয় ও নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার দুল্লা ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। তার বিপক্ষে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী হোসেন আলী। এ ছাড়া শরাফত আলী বেপারী ও মোহাম্মদ বকুল হোসেনও বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

বড়গ্রাম ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্দিকুজ্জামান সিদ্দিক। তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী জাহান আলী। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান ছাইফুদ্দিন আহমেদ বাবুলও নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

তারাটিতে নৌকা নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আক্রাম হোসেন জনি। এ ছাড়া ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টির আবদুর রাজ্জাক, বিএনপি নেতা ইউসুফ আলী ও জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ মোজাহীদ।

কুমারগাতায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আকবর আলী। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান অতুন। বাঁশাটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উজ্জ্বল কুমার চন্দ। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুর রশিদ সরকার। এই ইউপিতে বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মঞ্জুও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

মানকোনে নৌকা পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম বাহাদুর। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর ও সুলতান মাহমুদ সিলু। এ ছাড়া বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম তারা ও একেএম মাহবুবুর রহমানও মাঠে রয়েছেন। ঘোগা ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ আহমেদ। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লেবু।

দাওগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মজনু সরকার। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার জামাল উদ্দিন বাদশা। আর বিএনপি নেতা মাওলানা আব্দুল লতিফও রয়েছেন নির্বাচনে। কাশিমপুরে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার। তাঁর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইফতেখার চৌধুরী সুমন।

এ ছাড়া খেরুয়াজানী ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মোল্লা। আর বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, ফারুকুল ইসলাম বিপ্লব ও এমদাদুল হক। এ ছাড়া বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মাজাহারুল ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরও কেউ যদি নির্বাচন থেকে না সরে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ