কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাদপুর ইউনিয়নের গোবরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খাল পাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র এই কাজ করছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে খাল ও কৃষি জমি। যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কৃষক ও পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খালের পাড়ের ওপর দুটি মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) বসানো হয়েছে। প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে ট্রাক্টর, ট্রলিতে করে নেওয়া হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিদিন এখান থেকে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ ট্রলি মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা ও বসতভিটায়। প্রতি ট্রলি মাটি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। খালের জমি থেকেও গভীর গর্ত করে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে খালের পাড় রক্ষা করা মুশকিল হয়ে পড়বে। এ ছাড়া গভীর করে মাটি কাটায় কৃষিজমিও নষ্ট হচ্ছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার একাধিক কৃষক জানান, এলাকার রফিকুল ইসলাম (রফি), হাসান, আনিস ও মিলটনসহ আরও কয়েকজন মিলে মাটি বিক্রি করছেন।
শরিফুল ইসলাম নামের এক এলাকাবাসী বলেন, ‘খালের মাটি নাকি তাঁদের (প্রভাবশালীদের) জায়গায় আছে। এই জন্য তাঁরা বিক্রি করছেন।’
আলম নামের আরেকজন বলেন, ‘রাস্তার মাঝ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটায় পথের মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
মাটি কাটার বিষয়ে অভিযুক্ত কেউই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে চাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘দুই-তিন ধরে ক্যানালের রাস্তার মাটি কাটছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ক্ষমতাধর হওয়ায় তাঁরা তাঁদের ইচ্ছামতো কাজ করছেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তাঁরা দেখবেন।’
পাউবো, কুষ্টিয়ার উপ–প্রকৌশলী মোহা. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’