কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাকা আমন ধান কাটার ধুম পড়েছিল কৃষকদের মধ্যে। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব। আমন ধান ঘরে তোলার মুখে হচ্ছে টানা বৃষ্টি। তাই জমিতে কেটে রাখা শুকনো ধান ভিজে গেছে অনেকের। অনেকের ধান পানিতে ভাসছে। শেষ সময়ে কষ্টের ফলানো ধান ঘরে না তুলতে পারার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক কৃষক।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১২ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। ৬ হাজার ৪ শত ৩০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২ শত ২০ হেক্টর জমির ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা।
উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের পং মসূয়া গ্রামের কৃষক আসাদ ও মানিক মিয়া বলেন, ‘কৃষি ধানের ওপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে। দুই দিন ধরে বৃষ্টি থাকার কারণে একটি ধানও ঘরে তুলতে পারিনি। জমিতে পালা দিয়ে ধান কেটে রেখেছি। কেটে রাখা জমির ধান পানিতে ডুবে যাচ্ছে। ধান ও খের উভয়ই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন ভীষণ দুশ্চিন্তায় ভুগছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুখছেদুল হক বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ফলন ভালো হয়েছে। কয়েক দিন ধরে আমন ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। কিন্তু নিম্নচাপ এবং অসময়ে বৃষ্টির কারণে কৃষকের ধানের জমিতে কাজ বন্ধ রয়েছে। দু-এক দিনের ভেতরে আবহাওয়া ভালো হয়ে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে উপজেলার চার ভাগের এক ভাগ কৃষক আমন ধান ঘরে তুলতে পেরেছে।