ওয়াজিব শব্দের অর্থ আবশ্যক। নামাজের যেসব বিধান পালন করা আবশ্যক, তবে ফরজের নিচের স্তরে, সেগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ওয়াজিব বলা হয়। নামাজের ওয়াজিব ১৪টি।যথা—
প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়া।(বুখারি: ৭৫৬)
২. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা। (বুখারি: ৭৭৬)
৩. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা। (বুখারি: ৭৭৬)
৪. সুরা ফাতিহা অন্য সুরার আগে পড়া। (বুখারি: ৭৪৩)
৫. নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা। (বুখারি: ৭৯৩)
৬. প্রথম বৈঠক করা। তিন অথবা চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাতের পর বসা। বুখারি: ৮২৮)
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া। (বুখারি: ৮৩০-৮৩১)
৮. প্রতি রাকাতের ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা। (বুখারি: ৬২৫১)
৯. ফরজ ও ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। যেমন দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার পরপর করা। (বুখারি: ৬২৫১)
১০. বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর কোনো দোয়া পড়া। অবশ্য দোয়া কুনুত পড়লে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও আদায় হয়ে যাবে। (বুখারি: ১০০২)
১১. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির বলা। (আবু দাউদ: ১১৫৩)
১২. দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবির বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ: ৫৭০৭)
১৩. ইমামের জন্য জোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নত ও নফল নামাজে কিরাত আস্তে পড়া। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, দুই ঈদ, তারাবিহ ও রমজান মাসের বিতর নামাজে কিরাত শব্দ করে পড়া। (মুসলিম: ২৫৯; তিরমিজি ১/১০৬)।
১৪. সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। (বুখারি: ৮৩৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক