বাস টার্মিনাল দখল নিয়ে বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সিটি মেয়রের অনুসারী দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর বরিশাল নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনালে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি মেয়র সাদিক তাঁর অনুসারীদের নিয়ে রুপাতলী বাস টার্মিনালের কমিটি ঘোষণা দেন। অবশ্য প্রতিমন্ত্রী অনুসারীদের একটি কমিটির নেতৃবৃন্দ আগে থেকেই টার্মিনালের বৈধ নেতৃত্ব দাবি করে আসছেন।
ওই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রুপাতলী টার্মিনালে শ্রমিক নিয়ে অবস্থান নেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক অনুসারী শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ। অপরদিকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী পরিমল চন্দ্র ও আহম্মদ শাহরিয়ার বাবুর লোকজনও একই সময় অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ দাবি করেন, মেয়র অনুসারীদের কমিটি অবৈধ। তাদের সঙ্গে কোনো শ্রমিক নেই।
মেয়র অনুসারী শ্রমিক নেতা পরিমল চন্দ্র বলেন, সুলতান শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তার জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেতে শ্রমিকেরা মেয়রের ঘোষিত কমিটিকেই মেনে নিয়েছেন।
নগরের রুপাতলী বাসটার্মিনালের একাধিক শ্রমিকের তথ্যমতে, টার্মিনালের কয়েক শ বাস এবং বিভিন্ন রুটের কাউন্টারসহ ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা তোলেন শ্রমিক নেতারা। চাঁদার ওই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে দুই পক্ষে গত দেড় বছর ধরে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করতে গিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, শ্রমিকদের দুই পক্ষ টার্মিনালে অবস্থান নেওয়ায় অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। পুলিশ মোতায়েন করে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।