দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বায়রার চেয়ারম্যান আবুল বাশার। কিন্তু আসনটি লাঙ্গলকে ছেড়ে দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তবে ভোটের মাঠে রয়েছেন তাঁর ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত।
ইশতিয়াক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ১ শতাংশ ভোটের গরমিলে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোসাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ফেনী-৩ আসনটি জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তাঁকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লাঙ্গলের পক্ষে ভোট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সৈকতের পক্ষে মাঠে নেমেছে। এতে করে দলের ভোটাররা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন।
দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গোলাম বেলাল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা নেই যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করা যাবে না। তাই আমরা আবুল বাশারের ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ সৈকতকে নিয়ে মাঠে নেমেছি। বাশার ভাই দাগনভূঞা-সোনাগাজী আসনের জন্য অনেক দান-অনুদান দিয়ে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। আশা করি, সে বিবেচনায় মানুষ কাঁচি মার্কায় ভোট দিয়ে সৈকতকে জয়যুক্ত করবেন।’