ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী, স্কুলছাত্র ও নিম্ন আয়ের অন্যান্য পেশাজীবীর ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার ক্ষুদ্র হিসাবধারীদের ঋণের তথ্য যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সময়ে না দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের পুনঃঅর্থায়নের স্কিমের আওতায় এসব ক্ষুদ্র হিসাবধারীকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পরিচালনায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এ সুবিধার আওতায় ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) অনলাইন সার্ভিসের রেজিস্ট্রেশন ফি ও হিসাব সংরক্ষণের সার্ভিস চার্জ মওকুফ করা হয়েছে। সিআইবির সার্ভিস চার্জ মওকুফ পেতে প্রতি মাসের প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিইবিতে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তথ্য প্রেরণে অবশ্যই সিআইবির দেওয়া ছক অনুসরণ করতে বাধ্য থাকবে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি বিভাগ।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সিআইবিতে ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে এবং ঋণের তথ্যে কোনো মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের ঋণগ্রহীতাদের ঋণতথ্য ৫০ হাজার টাকা ও তদূর্ধ্ব বকেয়া ঋণের স্থিতি এবং ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা ও তদূর্ধ্ব খেলাপির স্থিতি মাসিক ভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে হালনাগাদ করতে হবে।
অন্যথায় ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা এবং নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিনগুলোর জন্য দিনপ্রতি এক হাজার টাকা হারে সর্বোচ্চ ৫ লাখ জরিমানা করা হবে।