মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি মারামারির ঘটনায় এক প্রবাসীকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও তাঁর স্বজনেরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর এলাকায়।
গত শুক্রবার নতুন ভাষানচর এলাকার মীর বংশ ও ব্যাপারী বংশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মোক্তার, হাবিবুল্লাহ, আলমগীর মীর, ওমর ফারুক, রমজান ব্যাপারীসহ উভয় পক্ষের সাতজন টেঁটাবিদ্ধ হন।
সেই ঘটনায় মীর বংশের রুকুল মীরের মেয়ে শারমিন আক্তার গত শনিবার রাতে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নতুন ভাষানচর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজ ব্যাপারীর ছেলে কুয়েতপ্রবাসী মেজবাহুল হক মেজুকে (৪০) আসামি করা হয়।
মামলার বিষয়ে মেজবাহুল হক মেজুর ভাই কামাল হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘আমার ভাই গত বছরের অক্টোবরে ছুটিতে দেশে এসেছিল এবং ছুটি কাটিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েতে চলে গেছে। মেজবাহুল প্রবাসে চলে যাওয়ার আট দিন পর এলাকায় মারামারি হয়। তাকে সেই মারামারির মামলার ২১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই মামলায় আমার ভাইকে জড়ানো হলো বুঝতে পারলাম না।’
মামলার বাদী শারমিন আক্তার বলেন, ‘মামলার পরে জানতে পেরেছি তিনি বিদেশে আছেন। আমাদের বাড়ির লোকজন বলেছেন ওই আসামির নাম কেটে দিতে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল কাদির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জানতে পেরেছি আসামি মেজু বর্তমানে কুয়েতে অবস্থান করছেন। তবে আমরা আরও তদন্ত করছি, প্রবাসে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারলেই তাঁর নাম বাদ যাবে।’
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, যদি এ রকম নাম দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পাবেন।