বিশ্বনাথের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বীরপ্রতীক (৭৩) না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী ও চার সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের আগ্নপাড়ায়।
সিরাজুল ইসলাম বীরপ্রতীক ১৯৭১ সালে সিলেট আইন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ভারতে চলে যান। পরে মেঘালয়ের ইকো ওয়ান সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টরের বালাট সাবসেক্টরে পাঠানো হয়। সেখানকার বেরিগাঁওয়ে পাকিস্তানিদের একটি শক্ত ঘাঁটি ছিল। সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বেশ কয়েকবার বেরিগাঁও ও ষোলঘরে হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতিতে অপারেশন পরিচালিত হয়। পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা অবস্থানে সাহসিকতার সঙ্গে অপারেশনের জন্য তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীরপ্রতীক’ খেতাবে ভূষিত হন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে বীরপ্রতীক সিরাজুল ইসলামের জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে সিলেট-২ আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান শোক প্রকাশ করেছেন।