গত সপ্তাহে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে সুদানে। রাজধানী খার্তুমসহ দেশটির প্রধান প্রধান শহরে গতকাল শনিবার সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত সেনা ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের টহল উপেক্ষা করে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস না হতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল যাঁরা বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরা মূলত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির অনুসারী। ১৯৯৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। দুর্নীতি, বেকারত্ব ইত্যাদি ইস্যুতে কয়েক মাসের গণবিক্ষোভের পর তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ‘সার্বভৌম কাউন্সিলের’ ব্যানের সামরিক-বেসামরিক প্রতিনিধিরা দেশটি পরিচালনা শুরু করেন। কাউন্সিলটির অধীনে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এক মাসের উত্তেজনার পর গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদোককে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-বুরহার। বাতিল করা হয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা। প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যাংক দেশটির বিভিন্ন তহবিল আটকে দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন এক টুইটে জানান, ‘শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের বিক্ষোভ করার অধিকার রয়েছে। সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের প্রতি সম্মান দেখাবেন বলে আমরা আশাবাদী। বিক্ষোভের সঙ্গে সেনাবাহিনী কেমন আচরণ করে সেটা দেখার বিষয়।’
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গতকালের বিক্ষোভের ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ জানা যায়নি। তবে গতকাল শনিবার দুজনসহ এ পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।