খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার স্থানীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
খুবি: বুধবার জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচির শুরুতে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এরপরই জাতীয় চার নেতার স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নিরবতা পালন শেষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
কয়রা: কয়রায় গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, কালো পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ১০ টায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে দলিয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের গুরুত তুলে ধরে আলোচনা সবায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতে ইতিহাসের সাক্ষী কারাবন্দী অবস্থায় জাতীয় ৪ নেতাকে রাতের আঁধারে কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আলোচনা শেষে জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
পাইকগাছা: উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব আলী সানা। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা সমিরন কুমার সাধু, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, রশীদুজ্জামান মোড়ল, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, রুহুল আমিন বিশ্বাস, হেমেশ মন্ডল, নির্মল কুমার অধিকারী, বিভূতি ভূষন সানা, ডাঃ শংকর দেবনাথ, বিজন বিহারী সরকার, জি এম ইকরামুল ইসলাম, তৃপ্তি রঞ্জন সেন প্রমুখ।