শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় জয়ন্তী নদীর খননের বালু সঠিকভাবে আটকে রাখায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের ২০ একর জমির রবি শস্য। বালু রাখার জায়গার চারপাশে দেওয়া বাঁধ ভেঙে আশপাশের ফসলি জমিতে বালু পড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীত মৌসুমে নাব্য সংকটের কারণে ঢাকা-ডামুড্যা রুটের লঞ্চগুলোর চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে বিআইডব্লিউটিএ জয়ন্তী নদীর মুখ থেকে ডুবোচরগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। ড্রেজিং মেশিন দিয়ে ১০ ফুট গভীর করে নদী কাটার কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। ড্রেজিংয়ের দাতরা-সাইক্ষা অংশের বালু সাইক্ষা সেতুর পূর্ব-উত্তর কোণে গোসাইরহাট ইউপির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনের জমিতে ফেলার কথা।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানিয়েছেন, ইউপি চেয়ারম্যানের জমিতে বালু রাখার কথা থাকলেও কৃষকের জমিতেও বালু ফেলা হচ্ছে। বালুগুলো স্তূপ আকারে ৬ একর জমির ওপর ফেলা হচ্ছে। কিন্তু বাঁধ ভেঙে বালুগুলো আশপাশের ২০ একর ফসলি জমিতে গিয়ে পড়ছে।
কৃষকেরা জানান, পেঁয়াজ, রসুন, কালো জিরা, ধনে, খেসারি, মসুর ডালসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী কৃষক ইছব আলী মাদবর বলেন, ‘এই বিলে (দাতরা-সাইক্ষা) আমার ১২ একর জমি আছে। বালু রাখার জায়গার বাঁধ ভেঙে বালু ছড়িয়ে পড়ায় আমার সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।’
আরেক ভুক্তভোগী ছালেহা বেগম বলেন, ‘আমরা এখানে প্রায় ২০টি পরিবার বসবাস করি। আমাদের এখানে ৮ একরের মতো জমি আছে। চেয়ারম্যান সিন্ডিকেট করে বালু বিক্রি করতে গিয়ে আমাদের ফসলগুলো নষ্ট করে দিল।’
এ বিষয়ে গোসাইরহাট ইউপির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। বালুর স্তূপের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কিছু জায়গার ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব।’