গত দুদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে আবারও পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের ২৫ মিটার অংশের সিসি ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধের জন্য ২০১৮ সালে সদর উপজেলার গোদারবাজার এলাকায় সাত কিলোমিটার এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৭৬ কোটি টাকা। চলমান সেই কাজ শেষ না হতেই চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ভাঙন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ কাজের ২০ জায়গায় ভাঙনের কবলে পরে সিসি ব্লকসহ বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
মান্নান নামের এক স্থানীয় জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ২৫ মিটার এলাকার সিসি ব্লক নদীতে হারিয়ে যায়। দফায় দফায় পদ্মার ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা।
আলেয়া বেগম নামের আরেক স্থানীয় বলেন, ‘২০ দিন আগে ভাঙনে আমার বাড়িঘর নদীতে হারিয়ে যায়। এখনো নদী ভাঙছে। কবে যে এই নদী ভাঙন থেকে মুক্তি পাব সেটা কেউ জানেন না। এত টাকার কাজ করা হলো কিন্তু ভাঙন থামে না।’
আরেক স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কবে দেখব বেড়ি বাঁধটিও নদীতে হারিয়ে গেছে। স্থান ভেদে নদী থেকে বাঁধের দূরত্ব পাঁচ থেকে দশ ফিট। রাজবাড়ী শহর রক্ষার জন্য যত দ্রুত সম্ভব ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান করা দরকার।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর জানান, বৃষ্টির কারণে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেড ম্যাটেরিয়াল সরে যাওয়ায় ওপরের সিসি ব্লকগুলো দেবে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৮০০ মিটার এলাকার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভাঙন কবলিত স্থানে ভাঙন রোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।