নাটোরের গুরুদাসপুরে আইন অমান্য করে আত্রাই নদে অবৈধভাবে বানার বাঁধ এবং সোঁতি জাল দিয়ে মাছ শিকার চলছে। এতে চলনবিলের মা মাছ থেকে শুরু করে পোনা আটকা পড়ছে। এ ছাড়া পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ ও নদের পারে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি নদের স্বাভাবিক গতিরোধ করে এই জাল বিছিয়ে মাছ শিকার করছেন। এক সপ্তাহ ধরে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ শিকার করলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে নেই।
আত্রাই নদ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কালাকান্দর স্লুইসগেট এলাকার আত্রাই নদে সোঁতি জাল পেতে মাছ শিকার চলছে। এতে নদীর পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেসানী নদীর বিলসা শ্মশানঘাটে দুটি সোঁতি স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটি গুরুদাসপুর শাখার আহ্বায়ক মজিবুর রহমান মজনু বলেন, চলনবিলে বানার বাঁধ ও সোঁতি জাল দিয়ে সব ধরনের মা মাছ ও জলজ প্রাণী নিধন করা হচ্ছে। এতে মাছসহ বিভিন্ন জলজ পোকামাকড় বিলুপ্ত হচ্ছে। এসব রোধে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
আত্রাই নদে সোঁতি জাল স্থাপনকারী কালাকান্দর গ্রামের তারেক সরদার বলেন, তিনি জানেন নদে সোঁতি জাল দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে এটি উচ্ছেদ করতে হলে সবারটাই উচ্ছেদ করতে হবে। না হলে তাঁর জাল রাখবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন বলেন, আত্রাই নদে সোঁতি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সব সোঁতি জাল উচ্ছেদ করা হবে।