লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেনের হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাগ রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিলেন অটোচালক আমির উদ্দিন। তাঁর সততায় স্থানীয়রা তাঁকে প্রশংসা করছেন।
অটোচালক আমির উদ্দিনের বাড়ি নীলফামারীর জেলার ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অটোচালক আমির উদ্দিন একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ব্যাগটি ফেরত দেন। এ সময় হাতীবান্ধা থানার ওসির পক্ষে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক ও ডিমলা থানার ওসির পক্ষে এসআই রোস্তম আলীসহ এলাকার স্থানীয় লোকজন উপস্থিত থেকে অটোচালক আমির উদ্দিনকে নগদ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ল্যাপটপের ব্যাগে একটি নতুন ল্যাপটপ, বিভিন্ন ব্যাংকের তিনটি এটিএম কার্ড, চারটি চেক বই, তিনটি পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ ছিল।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মোয়াজ্জেম পরিবারসহ তিস্তা ব্যারাজ হয়ে নীলফামারীর জলঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে অটোরিকশায় যাওয়ার পথে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস সড়কে ল্যাপটপসহ ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেন। সাত দিন ধরে অনেক খোঁজা খুঁজির পর গত শুক্রবার অটোচালক পুলিশের মাধ্যমে তাঁর সন্ধান পেয়ে ব্যাগটি ফেরত দেন।
অটোচালকের সততার কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আশানুর রহমান বলেন, ‘এত কিছু ব্যাগে থাকার পরও তিনি কোনো কিছুর লোভ করেননি। বরং তিনি প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে ফেরত দিয়ে এলাকার মানুষের কাছে সততার প্রতীক হয়ে রইলেন।’
সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আর্থিক সহযোগিতা যত বড়ই হোক না কেন আজীবন আমির উদ্দিনের সততাকে সামনে রেখে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাব। তিনি ল্যাপটপ যাবতীয় জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে নজির স্থাপন করলেন।’
অটোচালক আমির উদ্দিন বলেন, ‘আমি ব্যাগটি পাওয়ার পর থেকে এর প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে তাঁকে পেয়ে ব্যাগটি দিতে পেরে ভালো লাগছে।’