হোম > ছাপা সংস্করণ

সুয়ালকে পণ্য বহনে বাড়তি টোল আদায়

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের সুয়ালকে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত হারে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে সুয়ালক টোলকেন্দ্রের কর্মচারীদের বিবাদ তৈরি হচ্ছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে টোলকেন্দ্রে হট্টগোল হয়।

সোমবার রাতে টোল কর্মচারীর সঙ্গে পরিবহনকর্মীর বিবাদে অন্তত ২ ঘণ্টা বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কে যানবাহন আটকে থাকে। এতে ওই পথের যাত্রী, পণ‍্যবাহী গাড়ির চালক ও ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

জানা গেছে, বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের সুয়ালকে পণ্য পরিবহনে টোল আদায়ের জন্য একটি কেন্দ্র রয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এক অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রটি ইজারা দেয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছর মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলতি জুলাই থেকে নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) জন্য নতুনভাবে ইজারা দেওয়া হয়। উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে কামাল উদ্দিন (কামাল মেম্বার), মো. সামসুসহ কয়েকজন সুয়ালক টোলকেন্দ্র ইজারা পান।

পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জন্য ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে সুয়ালক টোলকেন্দ্র। ইজারার শর্ত মোতাবেক, টোলকেন্দ্রের নাম, ইজারাদারের নাম এবং কোন পণ্যে কত তা কেন্দ্রে প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া টোল রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করতে হবে।

এদিকে নতুন ইজারাদারেরা কোনো শর্তই মানছেন না। প্রভাবশালী হওয়ায় টোলের হার প্রদর্শন ও রশিদ কিছু না দিয়ে ইচ্ছেমতো টোল আদায় করেন। এ নিয়ে কৃষক, ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে কর্মচারীদের বাগ্‌বিতণ্ডা ও ঝগড়া লেগেই রয়েছে।

গত সোমবার রাত ৮টার দিকে টোলে অতিরিক্ত টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে কর্মচারী ও সবজি পরিবহনের গাড়ির চালকের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সবজি বহনকারী ট্রাকের চালক সড়কের ওপর গাড়ি রেখে দেন। এতে প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কে ৩ ঘণ্টা দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সুয়ালক টোলকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন টোলকেন্দ্রে দ্রব্যাদির ওপর নির্ধারিত টোল আদায়ের তালিকা প্রদর্শন করা হয়নি। কেন্দ্রে টোল আদায়ের কোনো রশিদ নেই। কর্মচারী আতিকুর রহমান ও মো. শাহেদ কেন্দ্রে থাকলেও তাঁরা টোল আদায়ের নির্ধারিত রশিদ দেখাতে পারেননি।

সোমবার রাতের ঘটনা সম্পর্কে সড়কে ট্রাক রেখে দেওয়া চালকের একজন প্রতিনিধি মো. হানিফ জানান, প্রতিটি গাড়িতে নির্ধারিত টোলের বাইরে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা বাড়তি টোল তাঁরা দিয়ে আসছেন। এর বিপরীতে কোনো রশিদ দেওয়া হয় না। বর্তমানে যারা টোলকেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন, তাঁরা অনেক সময় বাড়তির জন্য চালককে হেনস্তাও করেন।

টোলকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী আতিকুর রহমান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবেন না। এটা মালিকপক্ষ জানবে।

এদিকে টোলকেন্দ্রের ইজারাদার কামাল মেম্বার ও মো. সামসু সোমবার রাতের ঘটনার পরপরই গা-ঢাকা দিয়েছেন। গতকাল তাঁদের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে টোলকেন্দ্রের কর্মচারী আতিকের দাবি, ‘ইজারাদার কর্তৃপক্ষ একটু ব্যস্ত আছে।’

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলা পরিষদের দেওয়া মূল‍্যহারের বাইরে বাড়তি টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধের বিষয়টি আমি শুনেছি। আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আমরা একটি তদন্ত টিম গঠন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ