যা যা লাগবে
কমলা, সবুজ, সাদা ও সোনালি রঙের কাচের পুঁতি, চিকন তার, জাম্প রিং, সিলভার চেইন ও প্লায়ার্স।
পুঁতি কিনতে পাওয়া যাবে সুতা ও বোতামের দোকানে।
চলো বানাই
প্রথমে এক হাত সমান একটি চিকন তার নাও। তারের ভেতর ১৭টা পুঁতি ঢোকাও। এরপর ৯টি পুঁতির ভেতর দিয়ে তারের একটি পাশ ঘুরিয়ে আনতে হবে। অবশ্যই খেয়াল হবে, পুঁতিগুলো যেন তারের মাঝ বরাবর আসে। এতে ফড়িঙের মাথার হুক তৈরি হবে। এবার তারের যেকোনো এক পাশ দিয়ে ৮টি পুঁতি ঢোকাতে হবে। তারের অন্য মাথা ৮টি পুঁতির ভেতর দিয়ে টেনে মাথা টাইট করে দিতে হবে।
এবার তিন নম্বর লাইনে দুটি সোনালি পুঁতি, পাঁচটি সাদা পুঁতি এরপর আবার দুটি সোনালি পুঁতি ঢুকিয়ে দিতে হবে। আবার টাইট করে দিতে হবে। তারপর চোখ-মুখের আন্দাজ অনুযায়ী ছবির মতো করে আরও পাঁচটি স্তর বানাতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মাথার বেজ। এরপর মাথার বেজ থেকে বের হওয়া অবশিষ্ট তার পেঁচিয়ে লম্বা করে রাখবে। এরপর সেই তারের মধ্যে কমলা রঙের পুঁতি ঢুকিয়ে দিতে হবে। যেহেতু এটি ফড়িঙের শরীর, তাই বড় আকারের পুঁতি নিতে হবে।
এরপর পাখা তৈরির জন্য দুই পাশে তিন ইঞ্চির দুটি তার ও দুই ইঞ্চির দুটি তার কেটে নিতে হবে। পাখাগুলোর মধ্যে সবুজ রঙের কাচের পুঁতি ঢুকিয়ে মাথাটা মুড়িয়ে নিতে হবে, যাতে পুঁতিগুলো বের হয়ে না আসে। তারপর ওপরে দুটি বড় ও নিচে দুটি ছোট মোট চারটি পাখা ফড়িঙের শরীরের সঙ্গে পেঁচিয়ে নিতে হবে। এরপর ফড়িঙের শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী সাত থেকে আটটি বড় পুঁতি দিয়ে শেষ করতে হবে।
ফড়িংটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে জাম্প রিং এবং সিলভার চেইন লাগিয়ে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল পুঁতির তৈরি ফড়িং লকেট।
লেখা ও ক্র্যাফট: আফসানা মিথুন