অধ্যক্ষ ছাড়াই ১০ মাস ধরে চলছে বরগুনার বেতাগী সরকারি কলেজ। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম। এ অবস্থায় দ্রুত কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ অধ্যক্ষ ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন। তিনি ২০২১ সালের আগস্টে বদলি হয়ে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে যোগদান করেন। এরপর থেকে কলেজের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আবদুল ওয়ালিদ ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রভাষক আবদুল ওয়ালিদ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কলেজের কার্যাদি সম্পাদনের জন্য আর্থিক ক্ষমতা চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের আগস্টে অধিদপ্তর তাঁকে সাময়িকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বেতন-ভাতা ও সম্মানীসহ আনুষঙ্গিক বিলে স্বাক্ষরদানের ক্ষমতা দেয়। এদিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে সদ্য সরকারীকৃত কলেজগুলোর অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের শূন্যপদের তথ্য চেয়ে গত ২৯ মে চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠির জবাব দিতে বলা হলেও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল ওয়ালিদ ফোনে বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালককে সেই চিঠির জবাব জানিয়েছেন।
বেতাগী সরকারি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে যাত্রা করে ১৯৮৫ সালে স্নাতক (পাস) কোর্স চালু করে। ১৯৮০ সালে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) কোর্সগুলোতে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
বেতাগী সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহাতাব উদ্দিন বলেন, `আমাদের এই কলেজটি সদ্য সরকারীকৃত কলেজ। আগে কলেজে গভর্নিং বডি ছিল, অধ্যক্ষও ছিল। এখন কলেজে কিছুই নাই। শুধু একজন লেকচারার দ্বারা কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এ জন্য এখন একজন সুযোগ্য অধ্যক্ষ আমাদের দরকার। কিন্তু অধ্যক্ষ যেন নিয়োগ না হয়, সে জন্য আমাদের কিছু প্রতিনিধি তদবির করছেন।’
কলেজের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল ওয়ালিদ বলেন, ‘সরকার কলেজে অধ্যক্ষ না দিলে আমাদের করার কী আছে। অধ্যক্ষের পদায়নের বিষয়ে মন্ত্রী, সচিব ভালো বলতে পারবেন। মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষের শূন্য পদের তথ্য চেয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মুঠোফোনে আঞ্চলিক পরিচালককে সেই চিঠির জবাব দিয়েছি। আমি আমার যোগ্যতা অনুযায়ী কলেজ চালাচ্ছি। আমি বলব কলেজ খুব ভালো চলছে।’