হোম > ছাপা সংস্করণ

পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা তীব্র হচ্ছে যমুনার ভাঙন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। এতে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৩০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ার কারণে নদীতীরবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বোরো ধান, বাদাম, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসল। গত দুই দিনে এনায়েতপুরের ২৫ ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

এ ছাড়া সদর উপজেলার শিমলা, চড়চাপড়ি, বালী ঘুরকি, মাটিয়াপুর এলাকায় নদীভাঙনে ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

নদীর স্রোত বেড়ে কাজীপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে; বিশেষ করে চরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে বাঁধের ভেতরের প্রায় দুই হাজার একর জমি যমুনায় বিলীন হওয়ার উপক্রম। বাঁধে থাকা বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি এরই মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। গতকাল বেলা ৩টায় পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদর উপজেলার শিমলা গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া বলেন, চরে এ বছর ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছিলেন। পানির কারণে ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। নদীভাঙনে অনেক ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাদাম, পাট, আখও পানিতে তলিয়ে গেছে।

এনায়েতপুরের পাকরতলা গ্রামের কামরুল জামান জানান, তিন দিনে এনায়েতপুরে ২৫ বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী জানান, নাটুয়াপাড়া বাঁধটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। সেই সঙ্গে সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় ব্যক্তিগতভাবে এই বাঁধ রক্ষায় বরাদ্দ দিয়েছেন।

শাহজাদপুরের ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহা, কাজীপুরের ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী ও চৌহালীর ইউএনও আফসানা ইয়াসমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাঙন রোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করা হবে।

জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যমুনা নদীতে পানি আরও তিন চার-দিন বাড়বে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলমান আছে। চৌহালীতে ভাঙন রক্ষায় অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ