বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার আজিমপুর বাজারে গতকাল শনিবার সকালে।
জানা গেছে, আজিমপুর বাজারে ৬ শতাংশ জমি নিয়ে সিদ্দিক মোল্লা ও শহীদুল মীরের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। গতকাল সকালে ওই জমিতে শহীদুল মীর জোরপূর্বক ঘর তুলছিলেন। এতে সিদ্দিক মোল্লা, মেহেদী খান ও মুনসুরা বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হন। আহত শহীদুল মীর, শাহিন আলম, সিদ্দিক মোল্লা, মেহেদী খান ও মুনসুরাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এঁদের মধ্যে শহীদুল মীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শহীদুল মোল্লা ওই জমিতে ঘর তুলছিলেন। ওই ঘর তুলতে সিদ্দিক মোল্লা, মেহেদী খান ও মুনসুরা বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহত শহীদুল মীর বলেন, ‘আমার জমিতে ঘর তুলতে গেলে সিদ্দিক মোল্লা তাঁর লোকজন নিয়ে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাদের তিন ভাইকে মারধর করা হয়।’
আহত সিদ্দিক মোল্লা বলেন, ‘আমার জমিতে শহীদুল মীর জোর করে ঘর তুলছিলেন। এতে বাধা দেওয়ায় মেহেদী খান, মুনসুরা ও আমাকে মারধর করা হয়েছে। এ সময় আমার কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন শাহীন আলম।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা সুমন খন্দকার বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’